সেলিম হোসেন মায়া (খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি):খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি বাজারটি প্রায় তিন যুগের বহুল প্রতিক্ষার পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে। প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় উল্টাছড়ি বাজার চালুকরণের লক্ষ্যে এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বাজার চৌধুরী মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি-র সহ সভাপতি ও পানছড়ি উপজেলা বিএনপি-র সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলাবন্ধনে উল্টছড়ি বাজারটি চালু করতে সকলের সহযোগীতা চাই। এখানে বাজারটি চালু করতে যারা অবৈধভাবে বাধা সৃস্টি করবে তাদেরকে প্রশাসনের সহযোগীতায় দমন করা হবে। বাজারটি চালু হলে সকল সম্প্রদায়ের ৬টি গ্রাম উপকৃত হবে। বাজার চৌধুরী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানায়, বাজার ফান্ড খাগড়াছড়ির অনুমোদিত উল্টাছড়ি বাজারটি ১৯৮০-৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৮৬ সালে পার্বত্য বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেখানে বিভিন্ন লোকজন আশ্রয় নেয়। এক সময় বাজারের অস্থিত্ব হারায়। অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদ ও পুনরায় বাজার চালু করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন সহযোগিতা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত হয়ে বসার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় বাজারটি পুনরায় চালু হবে এবং আগামী মাসের যে কোন বুধবার থেকে হাট চালু হবে।
সম্মিলিত আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জ্ঞান প্রভাত তালুকদার, উপজেলা জামায়েত ইসলামী’র সেক্রেটারি হাফেজ মোঃ নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপি-র যুগ্ন সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, উল্টাছড়ি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কার্বারী বাদশা কুমার ত্রিপুরা,পানছড়ি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ’র পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ দলিলুর রহমান, ইউপি সদস্য কাখারাং ত্রিপুরা, নবগঠিত উল্টাছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন ,সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান হোসেন দুলাল, খাদ্য শষ্য ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান, মোঃ খলিলুর রহমান, স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন গ্রামের সকল সম্প্রদায়ের প্রায় ২ শত পাহাড়ি বাঙ্গালি এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।